আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘চলতি বছরেই চালু হবে বিজেএমসির সকল বন্ধ মিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলতি বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) সকল বন্ধ মিল চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক ,এমপি। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামে অবস্থিত আমিন জুটমিল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিক একথা জানান তিনি। পরিদর্শনকালে, চট্টগ্রামের বিজেএমসি’র ঊর্ধতন কর্মকর্তারাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) ভাড়াভিত্তিক মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন ও উৎপাদিত পাটপণ্য রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব মিলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ৩টি জুট মিল (বাংলাদেশ জুট মিলস লি: নরসিংদী এবং কেএফডি জুট মিলস লি: চট্টগ্রাম, জাতীয় জুটমিল সিরাজগঞ্জ) ভাড়াভিত্তিক ইজারা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। আরও তিনটি জুট মিলের লিজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এবছরই চালু হবে বিজেএমসির সকল বন্ধ মিল।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভাড়াভিত্তিক লিজ দেওয়া মিলগুলোতে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এক্ষেত্রে অবসানকৃত শ্রমিকরা অগ্রাধিকার পাবেন।
উল্লেখ্য, সরকারি সিদ্ধান্তে পাটকলগুলো বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও পাটখাত পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে গত ১ জুলাই হতে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব জুট মিলের সকল স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ, ছুটি নগদায়নসহ সমুদয় পাওনা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

এছাড়াও, যাচাইকৃত বদলি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, মামলা নিষ্পত্তি/প্রত্যাহারজনিত স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা, মিল চলাকালীন সময়ের ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের গ্রাচ্যুইটিসহ সকল দায় এবং কাঁচাপাট ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে এ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।